বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের বার্ষিক কালচারাল প্রোগ্রাম ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। তিনদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মিসেস রাশিদা হামিদ।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুফিয়া খাতুন,কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের উপপরিচালক ছিলেন ডা. সুলাতানা রাবেয়া, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার।
মানবিক ডাক্তার হওয়ার আহ্বান: প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফার্স্ট লেডি রাশিদা হামিদ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই এই মেডিকেল থেকে শুধু একজন এমবিবিএস ডাক্তার না, তোমরা হবে মানবিক ডাক্তার। তোমরা সৎ, নিষ্ঠ ও নৈতিকতা সম্পন্ন চিকিৎসক হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা হামিদ বলেন, তোমরা শিক্ষকদের, বড়দের সম্মান করবে ও ছোটদের স্নেহ করবে, তাহলে কলেজের পরিবেশ সুন্দর থাকবে।
রাষ্ট্রপতি উন্নতির পেছনের কারণ: প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আজ আমাদের অত্যন্ত খুশির দিন। আজ আমরা একটা ক্যারিয়ার সেমিনার সম্পন্ন করার পর মাননীয় ফার্স্ট লেডির উপস্থিতিতে বার্ষিক কালচার প্রোগ্রাম ও পুরস্কার বিতরণী শেষ করতে পেরেছি।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্পর্কে বলেন, তোমরা কি জানো মহামান্য রাষ্ট্রপতি জীবনে এত উন্নতির পেছনের কারণ? সেটা হচ্ছে একমাত্র সততা। তিনি তার তার সততা ও নৈতিকতা দিয়ে এতদূর এগিয়ে গিয়েছেন। তাই আমি তোমাদের একটা কথাই বলবো তোমরা জীবনে যাই করো সৎ থাকবে।
ক্যারিয়ার সেমিনার: মঙ্গলবার সকাল ৯টায় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেলের ক্যারিয়ার ক্লাব ও প্লাটফর্মের উদ্যোগে হয় এক ক্যারিয়ার সেমিনার। ক্যারিয়ার সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডা. মহিবুর রহমান, বিসিএস স্বাস্থ্য ও রেসিডেন্ট বিএসএমএমইউ।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অত্র মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খান,ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবুল মনসুর স্যারসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের পরিবেশনায় রকমারি গান অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান: মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টায় শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মিসেস রাশিদা হামিদ সব বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।